নিজস্ব প্রতিনিধি,
ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনে দেশে পরিচালিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সমবায়ী প্রতিষ্ঠান চকরিয়ার বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন।
আগামীকাল ২৪শে সেপ্টেম্বর। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। নির্বাচনে সভাপতি পদে ৩ জন, সহ-সভাপতি পদে ৪, সম্পাদক পদে ৩ এবং ০৯টি ব্লকে পরিচালক পদে ২৪ জনসহ ১২ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৪ প্রার্থী। সরজমিনে নির্বাচনী মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচনকেও হার মানিয়েছে বৃহত্তম সমবায়ী প্রতিষ্ঠান বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির এই নির্বাচন। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই রঙ্গিন নির্বাচনী পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, তোরণ নির্মাণসহ এমন কিছু বাদ পড়েনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায়। প্রার্থীরা তাদের নিজেদের মত করে বিভিন্ন আশা,প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে পোষ্টার ব্যানারের মাধ্যমে নিজ নিজ পরিচয় ফুটিয়ে তুলেছেন। এতেই নির্বাচনী উৎসব-আমেজে মেতে উঠেছে পুরো বদরখালী এলাকা। ৫০ হাজার জনগোষ্ঠীর এই সমবায়ী অঞ্চলে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫০০।
আগামীকাল শনিবার বদরখালী কলোনিজেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ৯টি বুথে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহন চলবে।
তবে নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে অভিযোগ উঠেছে, টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন অনেক প্রার্থী। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে অনেক আলোচনা-সমালোচনা। ফেসবুকে কবি সাইফুল মোস্তফা তার এক পোস্টে লিখেন,
“যোগ্য কেউ থাকলেও নির্বাচনের মাঠে ,
টাকায় ভাসিয়ে গেলে নীতি যাবে কাটগড়ায়,
সু নীতির কবর হয়ে গড়বে তবে
এটলী পোকার সমবায়।”
আবার অনেকের মতে, “টাকার কাছেই ভোট বিক্রি! কোন মার্কা নয়,পছন্দের প্রার্থী নয়, যোগ্য প্রার্থীও নয়। যেন টাকা মার্কায় ভোট। এলাকাজুড়ে চলছে রাতভর টাকার খেলা, চলছে টাকা দিয়ে ভোট কেনার রাজনীতি।”
তাই অর্থলোভে প্রণোদিত হয়ে অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে বিবেক খাটিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়াই উত্তম বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন জনসাধারণ।