সিটিজি ক্যাম্পাস ডটকমঃ
ইসলামী ব্যাংক লুটের নেপথ্যে দুই খলনায়ক। ইসলামী ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি বর্তমানে দেশের প্রধান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ। আরস্ত খান ও নাজমুল হাসান এই দুইজন ইসলামি ব্যাংক ফাঁকা করার কুশীলব।
ব্যাংকের চেঙ্গিস খান খ্যাত চেয়ারম্যান আরস্ত খান একজন সাবেক অতিরিক্ত সচিব হয়েও চট্টগ্রামের শিল্প গ্রুপের অজ্ঞাত ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান এর পক্ষে ডিরেক্টর হিসাবে ২০১৬ সালের শেষের দিকে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক নিযুক্ত হন। ইসলামী ব্যাংক লপাট করার নীল নকশা তিনি প্রণয়ন করেন এবং ইসলামী ব্যাংকে লাটে তুলার সমস্ত নাটক এর পরিচালক হিসাবে তিনি কাজ করেছেন বলে জানা যায়।
অত্যন্ত ধুরন্ধরের মতো ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করার ব্যবস্থা করে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সরে পড়েন, তিনি কোটি আমানতকারীকে এবং জাতিকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে কিছু না জানিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে নিজের অংশ বুঝে নিয়ে কেটে পড়েন। কিন্তু আরস্ত খানের পরবর্তী ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ঢাবি পুষ্টিবিজ্ঞানের অধ্যাপক নাজমুল হাসান বিপাকে পরে যান। ইসলামী ব্যাংকের এই দুই সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান যেকোনো সময় সিঙ্গাপুর বা অন্যত্র পালিয়ে যেতে পারেন তাদের গডফাদারের কাছে। এই দুইজনকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসা বাদ না করলে ইসলামী ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির জট খোলা যাবে না বলে মনে করেন ব্যাংকের কোটির বেশি আমানত কারিগন। ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করেন চীন, কোরিয়া, হংকং, ইন্দোনেশিয়া এর মত ব্যাংক লুটকারি চেয়ারম্যান, এমডিদের মধ্যে দোষীদের ক্যাপিটাল ফানিশম্যান্ট না দিলে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপরে আমানতকারীদের আস্থা ফিরে আসবে না এবং সারা বিশ্ব থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ আরো কমে যেতে পারে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল।
লেখকঃ হারুন আওরঙ্গ
Leave a Reply